FOREX BASIC COURSE

বলিঙ্গার ব্যান্ডস (bollinger bands): বলিঙ্গার ব্যান্ডস হল একটি টেকনিক্যাল এনালাইসিস টুলস যা মার্কেটে একটি জনপ্রিয় ট্রেডিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত আছে। জন বলিঙ্গার নামে একজন ট্রেডার প্রথম এটি তৈরী করেছিলেন। বলিঙ্গার ব্যান্ডস মার্কেটের ভোলাটিলিটি পরিমাপ করার মাধ্যমে মার্কেটের বর্তমান এবং নিকটবর্তী মুভমেন্টের একটা আউটলুক প্রদান করে থাকে।

ট্রেন্ডের দিকনির্দেশনা প্রদানের ক্ষেত্রে BB:

• মার্কেট কনসোলিডেশন মুভমেন্টের গতিবিধি
• আসন্ন বড় ধরনের ভোলাটিলিটি ব্রেকআউট
• মার্কেটের আনুমানিক টপ ও বটম
• প্রাইস টার্গেট নির্ধারণ

বলিঙ্গার ব্যান্ডস চার্টে  আমারা ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ লাইন দেখতে পাই যেখানে  প্রাইস শতকরা ৮৫% সময় এই লাইনগুলোর সীমানার মধ্যে থাকে। লাইনগুলি হল:

• মধ্যের লাইনটা হল সিম্পল মুভিং এ্যাভারেজ যার ডিফল্ট ভ্যালু হল ২০ পেরিয়োডের।
• লোয়ার ব্যান্ড - এসএমএ বিয়োগ ২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন।
• আপার ব্যান্ড - এসএমএ যোগ ২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন।

যখন প্রাইস বলিঙ্গার ব্যান্ডসের মধ্যের লাইনের নিচে থাকে তখন সেটাকে ডাউনট্রেন্ড হিসেবে ধরা হয় আর যখন মধ্যের লাইনের উপরে থাকে তখন সেটাকে আপট্রেন্ড হিসেবে ধরা হয়। চার্টে আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করবেন যে ব্যান্ডগুলো উদ্ধমুখী এবং নিম্নমুখী মুভ করে তাহলে সেটা থেকেও আপনি ধারনা নিতে পারেন যে পরবর্তীতে প্রাইস কোন দিকে যেতে পারে। বলিঙ্গার ব্যান্ডসের কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলে…

• বলিঙ্গার ব্যান্ড মার্কেটের প্রাইস লেভেলের হাই এবং লো এর সীমানির্দেশনা দিয়ে থাকে যেখানে প্রাইস হাই হল আপার ব্যান্ডে আর প্রাইস লো হল লোয়ার ব্যান্ডে।
• মার্কেটের হাই লো বিবেচনা করে আমরা  যথাযথ বাই অথবা সেল করার ডিসিশন নিতে পারি।
• প্রাইস আপার অথবা লোয়ার ব্যান্ড ছোয়া মানে সিগন্যাল পাওয়া না। প্রাইস আপার ব্যান্ডে টাচ করলেই সেল সিগন্যাল আসে না আবার প্রাইস লোয়ার ব্যান্ডে টাচ করা মানে বাই সিগন্যাল পাওয়া না।
• মার্কেটের উপযুক্ত দিক নির্দেশনা দেখতে মোমেন্টাম, ভলিউম, সেন্টিমেন্ট, ইত্যাদি সূচকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
• বলিঙ্গার ব্যান্ড প্রাইস এ্যাকশন প্যাটার্ন চিনতে সাহায্য করে। যেমন: " M" টপ এবং " W" বটম, মোমেন্টাম শিফট ইত্যাদি।
• ট্রেন্ডিং মার্কেটে প্রাইস আপার বলিঙ্গার ব্যান্ড আপার অথবা লোয়ার ব্যান্ড ছোয়াটা স্বাভাবিক।
• বলিঙ্গার ব্যান্ডের বাইরে প্রাইস ক্লোজ হওয়া সাধারনত ট্রেন্ড সম্প্রসারনের ইঙ্গিত দেয়। (এটা অনেক ভোলাটিলিটি ব্রেকআউট সিস্টেমের ভিওি হিসেবে কাজ করে থাকে।
• বলিঙ্গার ব্যান্ডের ডিফল্ট প্যারামিটারগুলো সাধারনত ব্যবহার হয়ে এসেছে। প্যারামিটার বিভিন্ন মার্কেট কন্ডিশনের জন্য পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
• উপযুক্তভাবে প্রাইস নিয়ন্ত্রনের জন্য: যদি ব্যান্ডের পেরিয়োড পরিবর্তন করেন তাহলে ডেভিয়েশনটাও সাথে সাথে পরিবর্তন করে নিবেন। যেমন: ২০ পেরিয়োড এবং ২ ডেভিয়েশন ডিফল্ট সেটিং, আপনি যদি ১০ পেরিয়োড করতে চান, তাহলে ডেভিয়েশন কমিয়ে ১.৯ করে দিন।
• ট্রেডিশনাল বলিঙ্গার ব্যান্ড সিম্পল মুভিং এ্যাভারেজের উপর ভিওি করে থাকে। এর কারন হল স্ট্যান্ডর্ড ডেভিয়েশন গননায় সিম্পল এ্যাভারেজ ব্যবহার করা হয়েছে আর আমরা এটাকে লজিক্যালি সামঞ্জস্যপূর্নভাবে পরিচালনা করতে দেখতে চাই।
• এক্সপোনেন্সিয়াল বলিঙ্গার ব্যান্ড বড় প্রাইস চেঞ্জের কারনে কিছুটা প্রস্থ কমিয়ে দিতে পারে। এক্সপোনেন্সিয়াল এ্যাভারেজ নিলে অবশ্যই মিডেল ব্যান্ড এবং স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন ২ টার গননার জন্যই ব্যবহার করতে হবে।
• যেহেতু বলিঙ্গার ব্যান্ড গননায় স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন ব্যবহার করা হয়, সেই কারনে কোন স্ট্যাটিস্টিক্যাল ধারনা বলিঙ্গার ব্যান্ডে পোষন করতে যাবেন না। প্রাইস ডিসট্রিবিউশন অস্বাভাবিক আর যে স্যাম্পল সাইজ বলিঙ্গার ব্যান্ডে ব্যবহার করা হয় তা স্ট্যাটিস্টিক্যাল সিগনিফিক্যান্সের জন্য খুব ছোট। (চার্টে আমরা ডিফল্ট প্যারামিটার ব্যবহার করে শতকরা ৯০%-৯৫% ভাগ সময় প্রাইসকে ব্যান্ডের ভিতর দেখতে পাই।)
• % b আমাদের দেখায় যে আমরা বলিঙ্গার ব্যান্ডের তুলনায় কোথায় আছি। ব্যান্ডের মধ্যের অবস্থানটি Stochastic এর একটি ফর্মুলা ব্যবহার করে গননা করা হয়
• %b এর অনেক ব্যবহার আছে। এদের মধ্যে বেশি দরকারি হল ডাইভারজেন্স চিহ্নিত করা, প্যাটার্ন চিহ্নিত করা এবং বলিঙ্গার ব্যান্ড ব্যবহার করে ট্রেডিং সিস্টেম কোড করা।
• কিছু fixed thresholds বাদ দিয়ে %b ইন্ডিকেটরকে নরমালাইজ করা যায়। এর জন্য ৫০ পেরিয়োড অথবা আরো বেশি পেরিয়োডের বলিঙ্গার ব্যান্ড একটা ইন্ডিকেটও ব্যবহার করুন। এরপর ওই ইন্ডিকেটরের % b গননা করুন।
• বলিঙ্গার ব্যান্ড কতটা প্রস্থ তা আমরা BandWidth দিয়ে দেখতে পাই। অপরিশোধিত প্রস্থটি মিডেল ব্যান্ড দিয়ে নরমালাইজ করা হয়। ডিফল্ট প্যারামিটারে BandWidth কোফিসিয়েন্ট অফ ভ্যারিয়েশনের ৪ গুন।
• বলিঙ্গার ব্যান্ড বিভিন্ন বিভিন্ন টাইম সিরিজে ব্যবহার করা যায়। যেমন: - equities, indices, foreign exchange, commodities, futures, options এবং bonds.
• বলিঙ্গার ব্যান্ড বিভিন্ন টাইমফ্রেমে ব্যবহার করা যায়। যেমন: ৫ মিনিট, ১ ঘন্টা, দৈনিক, সাপ্তাহিক ইত্যাদি
• বলিঙ্গার ব্যান্ড আপনাকে এমনসব সেটআপ বের করতে সাহায্য করে যেখানে আপনার লাভের সম্ভবনা বেশি থাকবে।