ফরেক্স ভিপিএস সামগ্রিক (Forex VPS) মুলত যারা ওয়েব হোস্টিং করেছেন তারা অবশ্যই VPS সম্পর্কে জেনে থাকবেন। সাধারণ ব্যবহারকারীদের VPS অধিকাংশই লিনাক্স বেজড হয়ে থাকে। কিন্তু যারা ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে থাকেন তাদের প্রয়োজন হয়ে থাকে Windows বেজড VPS। ভিপিএস (VPS) বর্তমানে ট্রেডারদের কাছে বহুল প্রচলিত একটা বিষয়। ট্রেডাররা তাদের ট্রেডিংয়ের সুবিধার জন্য ভিপিএস ব্যবহার করে থাকেন। এই সুবিধার গুলোর মধ্যে রয়েছে: ১. অটোমেটেড ট্রেডিং ( EA Trading) ২. কপিট্রেড করার জন্য (Copy Trade) ৩. ট্রেড এক্সিকিউশন (Execution) আরও দ্রুত করার জন্য ৪. ট্রেডিং স্ট্রেটেজি টেস্ট করার জন্য এখন প্রশ্ন হল ভিপিএস (VPS) আসলে কি? ভিপিএস (VPS) হল,ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (virtual private server)। একটা ডেডিকেটেড সার্ভারকে ভার্চুয়ালাইজেশন (Virtualization) সফটওয়্যারের মাধ্যমে একাধিক ভাগে ভাগ করে নোড (slice/node) তৈরী করা হয় । এই একেকটা নোড একেকটা ইন্ডিপেন্ডেট সার্ভার হিসাবে কাজ করে থাকে। এই VPS বা ইন্ডিপেন্ডেট সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেম যেকোন কছুই হতে পারে যেমন: লিনাক্স বা উইন্ডোজ বা অন্য কিছু। এই ভিপিএস –কে ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভারও বলা হয়ে থাকে। ভিপিএস-এ ডেডিকেটেট সার্ভারের ন্যায় ইউজার কন্টোল থাকে , এবং ক্লায়নেট নিজে স্বাধীন ভাবে সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন। ভিপিএস সার্ভার ডেডিকেটেড সার্ভারের থেকে প্রাইজ অনেক কম হয়ে থাকে। এবং ভিপিএস যেহেতু একটি ফিজিক্যাল হার্ডওয়ার ভাগ করে ইউজ হয়ে থাকে সেহেতু ভিপিএস এর তুলনায় ডেডিকেটেড সার্ভারের পারফর্মেন্স অনেক ভাল হবে। মুলত অধিক রিসোর্স এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার ইউজ করা হয় এবং অপেক্ষাকৃত কম রিসোর্স এর জন্য ভিপিএস সার্ভার ইউজ কয়া হয়। সার্ভারে কনফিগারেশন ( Configuration) অনুসারে নোড (slice/node) তৈরী করা হয়ে থাকে। ফরেক্স ট্রেডাররা উইন্ডোজ ভিপিএস (VPS) ব্যবহার করে থাকেন কারন উইন্ডোজ ভিপিএস এবং উইন্ডোজ PC দুটি বিষয়ই এক। আর এই ভিপিএস এর মধ্যে ট্রেডাররা তাদের MT4/MT5 ওপেন রেখে EA কান্টেক করে দেন যাতে EA 24/7 কোন রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চলতে পারে। যারা EA (ফরেক্স রোবট) ব্যবহার করে ট্রেড করেন, অথবা অতি মেধাবী কিছু কোডার যারা ব্রোকারের প্রাইছ ফিডের দুর্বলতা বের করে Arbitrage trading করেন, তারা অবশ্যই ফরেক্স VPS ব্যবহার করেন। এই ধরনের ট্রেডিংয়ের জন্য LOW LATENCY ভিপিএস অনেক গুরুত্বপূর্ণ্য। LOW LATENCY বলতে ব্রোকার সার্ভার এবং MT4 হোস্টিং সার্ভার এর কান্টেশন SPEED কে বোঝান হয়েছে। আপনি যত ব্রোকার সার্ভরের কাছে ট্রেড করেত পারবেন তত LOW LATENCY কানেকশন পাবেন এবং ট্রেড অনেক দ্রুত EXECUTION হবে, যা ট্রেডিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূন্য। ঠিক এই কারনে প্রফেশনাল ট্রেডরা ভিপিএস ব্যবহার করে ট্রেড করে থাকেন। ফরেক্স VPS মুলত একটি ভার্চুয়াল কম্পিউটার যা হাইস্পীডি এবং সবসময় দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট দ্বারা কানেকটেড থাকবে। যা সাধারণত হ্যাং করেনা, বন্ধ হয়না, এবং কখনো নেটওয়ার্ক চলে যায়না। আমরা যারা ফরেক্স এ রোবট ব্যবহার করে থাকি তাদের সবসময় পিসি চালু রাখতে হয়। কখনো যদি পিসি বন্ধ বা হ্যাং হয়ে যায় তখন কিন্তু রোবট আর কাজ করেনা।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো VPS সার্ভারে এক্সিকিউশন আমাদের স্লো গতির ইন্টারনেট থেকে অনেক দ্রুত হয়ে থাকে। যার ফলে স্লিপেজ বা রিকোট সমস্যা হয়না বললেই চলে। আর যারা সবসময় ল্যাপটপ বা পিসির সামনে থাকতে পারেন না তারা চাইলেই কিন্তু মোবাইল থেকে সরাসরি VPS সার্ভারে লগইন করে মোবাইলেই MT4 এর ক্লাসিক ইন্টারফেস যা পিসিতে থাকে সেটা দেখতে পারেন। এবং মোবাইল থেকেই সার্ভার নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। এটার জন্য GOOGLE Play Store থেকে “ Remote Desktop Computer” নামের Apps টি ডাউনলোড করে নিলেই হবে, অবশ্যই Microsoft এর দেখে নিবেন। মোটকথা যারা সিরিয়াস ট্রেডার এবং পার্সোনালি EA বা অটো স্ক্রীপ্ট ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য কিন্তু FOREX VPS এর বিকল্প নেই। VPS হোলো Virtual Private Server. অল্প টাকায় নিজের একটা server. আপনার যদি অনেক user/traffic থাকে কিংবা নিরাপত্তা সমস্যা থাকে তবে VPS হতে পারে ভালো সমাধান। যে হারে hacking চলছে তাতে VPS ই ভালো সমাধান। নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকবে সব কিছু। VPS ক্রয় করার আগেঃ কোন ধরনের VPS কিনবেন তা অনেকটা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনীয়তার উপর, আপনি কয়টা MT4/MT5 ওপেন রাখতে চান তার উপর। VPS কেনার আগে VPS কনফিগারেশন দেখে নিতে হবে যেমন র‌্যাম (RAM), সিপিউ (CPU), এস.এস.ডি (SSD) এবং অন্যান্য বিষয়সমূহ। লক্ষ রাখতে হবে আপনার VPS লোকেশন এবং ব্রোকারের লোকেশন যেন কাছাকছি হয়। তার জন্য আপনি ব্রোকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে Latency টেস্ট করে নিতে পারবেন। আপনি যদি আপনার VPS এ ২ টি MT4 চালাতে চান তাহলে অবশ্যই ১ জিবি RAM থাকতে হবে, বেশি হলে আপনার EA আরও ভালো কাজ করবে। অনুরূপভাবে যদি আরও বেশি MT4 চালাতে চাল তাহলে আরও বেশি র‌্যাম প্রয়োজন, সাথে থাকতে হবে CPU কোর এবং SSD। জনপ্রীয় কিছু ফরেক্স VPS প্রোভাইডার: অনলাইনে অনেক VPS Provider পাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজনীয়তার উপর, প্রাইসের এবং মানের দিক দিয়ে সেরা কিছু Forex VPS Provider নিয়ে আমরা আলোচনা করব। প্রতিটি ভিপিএস প্রোভাইডারই দিচ্ছে Money Back Gurantee! 1. FxSVPS.COM অনলাইনে আছে ২০১২ সাল থেকে সাথে আছে ৫* রিভিউ। FxSVPS বর্তমানে অনলাইনে অনেক জনপ্রীয় এবং Trusted ফরেক্স VPS প্রোভাইডার যেখানে আপনি মাত্র ২.৫ ডলারেই আপনার ট্রেডিং VPS পেতে পারেন। সাথে থাকছে আপনার অটো ট্রেডিংকে SMOOTH করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টুলস। গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১. বাজারের সবচেয়ে কম মূল্যে ফরেক্স VPS পাবেন, মাত্র ২.৫ ডলার। ২. VPS configuration তুলনামূলক অনেক ভালো পাবেন। ৩. SSD ডিস্ক পাবেন। ৪. MT4 Install করা থাকবে। আপনি যে ব্রোকারের MT4 চান বলে দিতে হবে। ৫. MT4 Auto Startup টুল্স Activate করা থাকবে। ৬. Exclsuvie প্যাকেজ Yearly Subscribe করলে থাকবে Massive Discount এবং সাথে ২ মাসের জন্য ফ্রি। ৭. Payment Option: Paypal, Neteller, Skrill, Perfect Money, Payeer, Crypto(Bitcoin, LiteCoin etc), Payza ৮. সার্ভার লোকেশন: USA, UK, Canada, Germany, France, Poland, Netherland Singapore, Australia. ওয়েবসাইট: www.fxsvps.com 2. FxVPSPRO.COM অনলাইনে আছে ২০১৩ সাল থেকে সাথে আছে ৫* রিভিউ। FxVPSPRO ও ভেরিফাইড এবং Trusted ফরেক্স VPS প্রোভাইডার যেখানে আপনি মাত্র ২.৯৯ ডলারেই আপনার ট্রেডিং VPS পেতে পারেন। সাথে থাকছে আপনার অটো ট্রেডিংকে SMOOTH করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টুলস। গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১. Forex VPS এর মূল্য তুলনামূলক অনেক কম, শুরু মাত্র ২.৯৯ ডলার থেকে। ২. VPS configuration তুলনামূলক অনেক ভালো পাবেন, ১ জিবি র‌্যাম থেকে শুরু। ৩. SSD ডিস্ক পাবেন। ৪. MT4 Install করা থাকবে। ৫. MT4 Auto Startup টুল্স Activate করা থাকবে। ৬. Yearly Subscribe করলে থাকবে Massive Discount। ৭. Payment Option: Paypal, Neteller, Skrill, Perfect Money, Payeer, Crypto(Bitcoin, LiteCoin etc), Payza ৮. সার্ভার লোকেশন: USA, UK, Canada, Germany, France, Poland, Netherland। ওয়েবসাইট: www.fxvpspro.com 3. BESTFXVPS.COM প্রফেশনাল ট্রেডারদের জন্য প্রয়োজন হাইয়ার কনফিগারেশন VPS এবং BestFxVPS আপনাকে দিবে আপনার প্রয়োজন অনুসারে VPS কনফিগারেশন। BestFxSVPS-এ আপনি পাবেন ৪ ধরনের Forex VPS প্যকেজ যার মধ্যে রয়েছে Platinum Package, Diamond Package, Crown Package এবং Legacy Package। Platinum Package –এর মূল্য ১৭.৯৯ ডলার যেখানে পাবেন ৩ জিবি র‌্যাম, ২ কোর CPU, ৬০ জিবি SSD। সাথে থাকছে আপনার অটো ট্রেডিংকে SMOOTH করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টুলস। গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১. Forex VPS এর মূল্য তুলনামূলক অনেক কম, শুরু মাত্র ১৭.৯৯ ডলার থেকে। ২. VPS configuration তুলনামূলক অনেক ভালো পাবেন, ৩ জিবি র‌্যাম থেকে শুরু। ৩. SSD ডিস্ক পাবেন। ৪. MT4 Install করা থাকবে। ৫. MT4 Auto Startup টুল্স Activate করা থাকবে। ৬. Yearly Subscribe করলে থাকবে Massive Discount। ৭. Payment Option: Paypal, Neteller, Skrill, Perfect Money, Payeer, Crypto(Bitcoin, LiteCoin etc), Payza ৮. সার্ভার লোকেশন: USA, UK, Germany, France, Netherland। ওয়েবসাইট: www.bestfxvps.com ফরেক্স ট্রেডিংয়ের জন্য সেরা তিনটি VPS প্রোভাইডার।
এমন কি আছে যা শিখলে ফরেক্স মার্কেট আয়ত্তে আনা সম্ভব? আচ্ছা এমন কিছু কি আছে যা শিখলে ফরেক্স মার্কেটকে ভালোভাবে আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে? এমন কিছু কি অসলেই আছে যা সঠিকভাবে শিখতে পারলে আমি বুঝতে পারব মার্কেটে কোথায় বাই এবং কোথায় সেল ট্রেড নিলে প্রফিট হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে? এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই নতুন ট্রেডাররা অনেক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। হুম অবশ্যই আছে, যার মাধ্যমে আপনি মার্কেটের গতিবিধি বুঝতে পারবেন এবং আপনার ট্রেড সম্পর্কে সঠিক একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবেন। হুম, এটাই হল ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস এবং এর সিঠিক প্রয়োগ। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস সঠিকভাবে জানতে এবং প্রয়োগ করতে পারলে ফরেক্স এবং স্টক মার্কেট এনালাইসিসের ৭০% জানা হয়ে যাবে। অনেকেই অনেক রকম ক্যান্ডেল প্যটার্ন সম্পর্কে জানেন কিন্তু এর সিঠিক প্রয়োগ খুব কম সংখ্যক ট্রেডারই জানেন। যা জানা সকল ট্রেডারদের জন্য অতীব জরুরী কেননা এই ক্যান্ডেলস্টিক প্যটার্ন এনালাইসেসর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন মার্কেট সেন্টিমেন্ট বা Investor Sentiment সম্পর্কে এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলেই পায়ে যাবেন অনেক কাঙ্ক্ষিত High Reliable Trade Set Up। আজকের আলোচনায় আমরা ক্যান্ডেলস্টিক প্যটার্ন এনালাইসেসর ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সম্পর্কে জানব যা আপনাকে এটার প্রযোজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করবে। তাহলে শুরু করা যাক। যে চারটি করনে আপনার ক্যান্ডেলস্টিক শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: মার্কেটের গতিবিধির পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব: নিচের চিত্রে আপনি যদি বার চার্ট(BAR CHART) এবং ক্যান্ডেলস্টিক (Candlesticks Chart) চার্ট লক্ষ করেন তাহলে ২টা চার্টের পাথ্যক্য বুঝতে পারবেন। প্রাইস একশান এনালাইসিস (Price Action Analysis) এবং মার্কেট প্রোবাবিলিটি (Probabilit) এনালাইসিসের ক্ষেত্রে বার চাট এর চেয়ে ক্যান্ডেল চার্ট অনেক সহজ এবং কার্যকরি একটি পদ্ধতি। তাছাড়া তুলনামূলক কম পরিশ্রম এবং Practice করেই ক্যান্ডেল চার্ট আয়ত্তে আনা সম্ভব। মার্কেট সাইকোলজি সাম্পর্কে সঠিক ধারনা পাওয়া যায়: ক্যান্ডেলস্টিক চার্টের মাধ্যমে আমারা খুব সহজ ভাবেই মার্কেটের যেকোন পরিবর্তন বুঝতে পারি এবং ট্রেডারদের সাইকোলজি জানতে পারি। নিচের চার্টে আমি ক্যান্ডেলস্টিকের ব্যসিক মার্কেট সেনটিমেন্ট (Sentiment) বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মনে রাখতে হবে ক্যান্ডেল প্যাটার্নের গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো CANDLE SHADOW বা PIN এবং এই শেডোই প্রকৃতপক্ষে মার্কেটে ট্রেডারদের বিভিন্ন সেন্টিমেন্ট প্রকাশ করে থাকে। যেগুলো সঠিকভাবে বিচার বিশ্লেষন করাই হলো প্রাইস একশন এনালাইসিস (Price Action Analysis)। পরবর্তিতে আমরা প্রাইস একশন ট্রেডিং স্ট্রেটেজি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করব। ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট বোঝা তুলনামূলক অনেক সহজ: অনেক সহজেই ক্যান্ডেল চার্ট বোঝা যায় যেখানে visually দেখা যায় মার্কেটের ইন্টারনাল Supply & Demand এর অবস্থান। তবে ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট সাথে কিছু টেকনিক্যাল বিচার বিশ্লেষন করে নিলে অনেক ACCURATE সিগন্যাল পাওয়া যায় মার্কেট পরবর্তী মুভমেন্ট সম্পর্কে। প্রায় ২৫০ বছর ধরে পরিক্ষিত এবং ব্যবহৃত হয়ে আসছে: ক্যান্ডেল চার্ট ব্যবহার হয়ে আসছে পায় ২৫০ বছর ধরে। জাপানিজ এক চাল বিক্রেতা Homma Munehisa প্রথম এই চার্ট তৈরি এবং ব্যবহার করেন এবং ব্যপক সাফল্য পান। পরবর্তিতে এই চার্টের ব্যাপক প্রচলন হতে থাকে এবং বর্তমানে এই চার্টই স্টক এবং ফরেক্স মার্কেটের সবথেকে জনপ্রিয় চার্ট।
প্রায় ৮ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য নয় বরং নিজেকে একজন দক্ষ ট্রেডার হিসেবে তৈরি করাই হোক আপনার ট্রেডিংয়ের প্রধান লক্ষ। আমার এই উক্তিটি আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে বা আপনি আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন কেননা দিন শেষে আমরা সবাই প্রফিটের জন্যই বিনিয়োগ করে থাকি। তবুও এই উক্তিটির সত্যতা এবং বাস্তবতা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। বিভিন্ন সময়ে ট্রেডারের এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে আমার বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়ে থাকে, যাদের অধিকাংশই এই মার্কেটে প্রথমে অংশগ্রহন করেছিলেন অধিক মুনফা লাভের আশায়। অনেকে আবার আমাকে বলেছে, “ভাইয়া আমি খুব অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে আছি, আমার জন্য কিছু একটা করেন বা এমন কোন ট্রেডিং স্ট্রেটেজি শেয়ার করেন যাতে আমি এই সেকটর থেকে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারি”। কথাগুলো শোনার পর নিজেকে খুব অসহায় লাগে কারন ট্রেডিং এমন একটা সেকটর যেখানে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিনিয়োগ করতে গেলে সমস্যা হ্রাস পাবে না বরং বৃদ্ধি পেতে পারে। লস করার পর অনেকে আবার ভাগ্যের উপর দোষারোপ করতে শুরু করে দেয়। আমাদের একটা বিষয় বুঝতে হবে, ভাগ্য কিন্তু আপনার কর্মেরই প্রতিফলন। SCOT তার এক উক্তিতে বলেছেন “ভাগ্য বলে কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও যত্নের উপর তা গড়ে উঠে”। ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু এর বেতিক্রম নয়। আপনি যদি ফরেক্স মার্কেটের চার্ট দেখেন তাহলে মনে হতে পারে এখানে অসংখ্য ট্রেডিংয়ের সুযোগ রয়েছে এবং এই মার্কেট থেকে নিজের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করা খুব কঠিন কিছু হবে না। বিষয়টি আসলেই কিছু ট্রেডারদের কাছে সহজ কিন্তু অধিকাংশের ট্রেডারের কাছে নয়। এখন প্রশ্ন হল, নতুন ট্রেডার বা বিনিয়োগকারীরা ফরেক্স মার্কেটকে এমন কেন মনে করে থাকে? আসলে এমনটি মনে হবার পেছনে যে কারনগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান কারণ হল ব্রোকার প্রদত্ত অধিক পরিমান লেভারেজ (Leverage) যা একজন স্বল্প বিনিয়োগকারিকে অধিক প্রফিট করার স্বপ্ন দেখায়। এটা সত্য যে ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে লেভারেজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অধিক লেভারেজ আবার ধ্বংসেরও কারন হতে পারে। অধিক লেভারেজ থাকার করনে আপনি ব্রোকারগুলো থেকে খুব অল্প বিনিয়োগ করেই ট্রেড করার সুযোগ পাচ্ছেন যেমন মাত্র ১০ ডলার বিনিয়োগ করে ১:২০০০ লেভারেজ নিয়ে আপনি ট্রেড করতে পারেন যেখানে আপনার ১ ডালার হবে ২০০০ ডলারের সমান, তাহলে ১০ ডলার হচ্ছে ২০০০০ ডালারের সমান, মানে আপনি সর্বচ্চ ০.২০ লটে ট্রেড ওপেন করতে পারবেন। আপনি যদি একটা ট্রেড দেন ০.২ লটে এবং ট্রেডটি যদি ৫০ পিপস মুভ করে তাহলে আপনার প্রফিট হবে ১০০ ডলার। বিষয়টি কিছুটা অবাস্তব মনে হতে পারে কিন্তু এটাই ফরেক্সের ক্ষেত্রে চরম বাস্তবতা। এখন প্রশ্ন হল এটি কি ট্রেড হবে না Gambling? অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, যারাই ফরেক্স মার্কেটে অধিক মুনাফার লোভে বিনিয়োগ করেছে তারাই খারাপ অবস্থার সম্মুখিন হয়েছে। কিন্তু যারা প্রকৃত শেখার মানসিকতা নিয়ে এসেছে তরাই ভালো করেছে। এটা এমন একটা মার্কেট যেখানে ট্রেড শিখতে শিখতেই ভালো করা যায়। যদি মানসিকতা থাকে ভালো করার তাহলে প্রধান ফোকাস চলে যাবে ট্রেডিং দক্ষতা উন্নয়নের দিকে, প্রফিট করার দিকে নয়। যদি আপনি নিজের সাথে কমিটমেন্ট করেন এই সেকটরে ভালো করার এবং যদি Passionate থাকেন তাহলে MONEY এমনিতেই আপনার কাছে চলে আসবে। আপনি কত ডলার প্রফিট করলেন তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক RISK REWARD মেনে নিয়ে কত পিপস প্রফিট করেছেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ। একজন দক্ষ ফুটবল প্লেয়ার কখনই গোল এর দিকে ফোকাস করে না, বরং ফোকাস করে শুধু ভাল খেলার জন্য কারন সে জানে গোল তখনই হবে যখন সে প্রতিটা মুভ দক্ষতার সাথে করতে পারবে সুতরাং আসল দক্ষতার প্রকাশ ঘটে সেই প্রতিটা মুভের/ প্রতিটা পাচ মধ্যেই। লক্ষ নির্ধারন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, ট্রেডিংয়ের প্রথম বছর আপনার টার্গেট কি? কখনও কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান? আপনার কাছে কি কোন সুর্দিষ্ট লিস্ট আছে? যদি না থাকে তাহলে আজই করে ফেলুন। সফল ট্রেডার হওয়া অনেক দিনের পরিশ্রম, সাধনা এবং বার বার চেষ্টার ফসল। আপনার এই সফলতার যাত্রা পথে FXSUCCESSBD সর্বদাই আপনার পাশে আছে।
দীর্ঘদিন ধরে ফরেক্স মার্কেটে সফলতার সাথে টিকে আছেন এমন কিছু ট্রেডারের কাছে যদি প্রশ্ন করা হয়, ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি? মনে হয় অধিকাংশ ট্রেডারই বলবে মানি ম্যানেজমেন্টরে (Money Management)কথা। এমনকি বিশ্বের সেরা সেরা ট্রেডিং কৌশলও বা স্ট্রেটেজি আপনাকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারবে না যদিনা আপনার কাছে সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেটেজি থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা ট্রেডিংয়ের মানি ম্যানেজমেন্ট উন্নয়নের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। ১. ট্রেড করার আগে প্রতি ট্রেডের রিস্ক সম্পর্কে জানুন (Before placing trade knows about Risk): আপনি প্রতি ট্রেডে সর্বোচ্চ কত ডলার লস করতে পারবেন? এটাকেই বলা হয় প্রতি ট্রেডের রিস্ক বা Risk Per Trade। খুব কম সংখ্যক ট্রেডারই আছেন যারা ট্রেড করার পূর্বে সম্ভাব্য লসের কথা বিবেচনায় আনেন। এটাই ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি যা পারে আপনার ট্রেডিং একাউন্ট জিরো হওয়া থেকে বাঁচাতে। অনেক ট্রেডার তার মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেটেজিতে প্রতি ট্রেডে সর্বচ্চ ২% বা তার কম রিস্ক নেওয়ার কথা বলে থাকেন। তবে নতুন ট্রেডারদের ক্ষেত্রে এই % যত কম হবে ততই ভাল। আপনার পজিশন সাইজের উপরই নির্ভর করে আপনার ট্রেডিং রিস্ক লেভেল। মনে করেন আপনার একাউন্টে ১০,০০০ ডলার ব্যালেন্স আছে এবং আপনি একটা নতুন ট্রেডের সুযোগ পেয়েছেন যেখানে আনুমানিক ৫০ পিপস রিস্ক নেওয়া নিরাপদ বলে আপনি মনে করেন, তাহলে ২% হিসাবে আপনার রিস্ক অংক হবে ২০০ ডলার এবং আপনার ট্রেডিং লট সাইজ হবে ০.৪ ($200 / 50 pips = $4)। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ২. সর্বদাই স্টপ লস (Stop Loss) ব্যবহার করতে হবে (Always use stop loss): অধিকাংশ ট্রেডার স্টপ লস শুনলেই অনেকটা নেতিবাচক মনে করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে StopLoss হল এমন একটা উপায় যার মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রেডিংয়ের কোন অনাকাংখিত লস হওয়া থেকে ট্রেডিং একাউন্টকে নিরাপদ রাখতে পারেন। তবে এমন অনেক মার্কেটে কন্ডিশন আছে (Flash Crush, High Volatile Move) যখন স্টপলস অর্ডার কার্যকরী নাও হতে পারে তবে এমনটা খুব কমই হয়ে থাকে। ট্রেডিং স্ট্রেটেজি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের স্টপলস রয়েছে যেমন Volatility stops, Chart Stops কিন্তু সর্বদাই টার্গেট বেজ স্টপলস ব্যবহার করা উত্তম, যা মার্কেট এনালাইসিস করে সাপোর্ট এবং রেজিটেন্সে দেওয়া হয়ে থাকে এবং এই এনালাইসিস এর জন্য ট্রেডাররা ট্রেন্ডলাইন(Trend Line), চ্যনেল(Channel), চার্ট প্যটার্ন (Chart Pattern)ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে। কখনই স্টপলস অনুমানের উপর ভিত্তি করে বা পিপস এমাউন্ট এর উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিন নয়। ৩. রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও বিবেচনায় আনতে হবে (Consider Reward-To-Risk Ratios of Trades): শুধু স্টপলস ব্যবহার করলে হবে না, সাথে সাথে সঠিক জায়গায় ট্রেড ক্লোজ করার দক্ষতাও থাকা প্রয়োজন। ভুল জায়গায় টেক প্রফিট(TP)দিলেও সামগ্রিক ট্রেডিংয়ের ফলাফল খারাপ হতে পারে। অন্যদিকে সঠিক জায়গায় স্টপলস দিলে তা ট্রেডিংয়ের সামগ্রিক ফলাফল অনেক ভালো করতে সক্ষম। সুতরাং শুধু স্টপ লস নয় বরং সঠিক টেক প্রফিটও সফল ট্রেডিংয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টেক প্রফিট লেভেলও আপনার ট্রেডের রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও অনেকটা নির্ধারন করে থাকে যা খুব স্বাভাবিকভাবে ট্রেডের তুলনামূলক ঝুঁকির সাথে সম্ভাব্য প্রফিটের একটা তুলনা করে থাকে। রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও যদি ১:১ থাকে তাহলে আপনি যে পরিমান প্রফিট আশা করবেন ঠিক সেই পরিমান ঝুকি নিতেও ইচ্ছুক। অনুরুপভাবে ২:১, ১:২ (Risk: Reward)নির্ধারন করে নিতে হবে। ৪. লেভারেজ সঠিকভাবে ব্যবহার (Use Leverage wisely): অনেক ট্রেডার ফরেক্স মার্কেটের উপর অনেক বেশি আকৃষ্ট হয় এবং মনে করে থাকে এখানে খুব অল্প বিনিয়োগ করেই অনেক প্রফিট করা সম্ভব কারন এই মার্কেটে ব্রোকারগুলো অনেক লেভারেজ (Leverage) অফার করে থাকে। যদিও এই মার্কেটে ভালো প্রফিট করতে গেলে লেভারেজ (Leverage)অনেক গুরূত্বপূর্ণ কিন্তু খুব বেশি লেভারেজ হতে পারে আপনার একাউন্টের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। সঠিক লেভারেজ ব্যবহার না করলে তা মানি ম্যনেজমেন্ট প্লানে প্রভাব ফেলতে পারে। আগেই বলা হয়েছে আপনার স্টপলস এর উপর ভিত্তি করে পজিশন সাইজ এবং লেভারেজ নির্ধারন করা উচিত যা পারে বড় ধরনের লস থেকে আপনাকে বাঁচাতে। ৫. ইমোশনের উপর ভিত্তি করে ট্রেড না দেওয়া (Don’t Trade Based on Emotions): নতুন ট্রেডারদের ট্রেডিংয়ের সবচেয়ে বড় ধরনের সমস্যার নাম হল Emotion। শুধুমাত্র ইমোশনের প্রভাবে ট্রেড করতে গিয়ে নতুন ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত লস করে থাকে। বার বার স্টপলস মুভ করা, প্রফিটের ট্রেড হোল্ড না করা বরং লসের ট্রেড মাসের পর মাস ধরে রাখা, লস হলে তা মানতে না চাওয়া মেনে, মানি ম্যানেজমেন্ট রুলস হঠাৎ ব্রেক করা ফেলা, ওভার ট্রেড করা ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই এই ইমোশনের প্রভাবে হয়ে থাকে। আপনার যদি নিজের এনালাইসিসের উপর Confidence থাকে তাহলে মার্কেটকে প্রমান করতে দিন যে আপনার এনালাইসিস সঠিক ছিল। মনে রাখতে হবে বার বার ইমোশনের প্রভাবে নিজের ট্রেডিং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সফল ট্রেডিংয়ের পথে অনেক বড় বাধা। উচিত হবে একটি STREGHT FORWARD এবং লিখিত ট্রেডিং প্লান অনুসরন করা যার ভিতরে থাকবে আপনার ট্রেডিং স্ট্রেটেজি এবং মানি ম্যানেজমেন্ট প্রিন্সিপাল। তাহলে আস্থে আস্থে ইমোশনাল ট্রেডিং অনেকাংশে হ্রাস পাবে। ৬. প্রতিদিনের ট্রেডিং জার্নাল অনুসরণ করতে হবে এবং প্রতিনীয়ত শিখার মানসিকতা রাখতে হবে (Keep a Trading Journal and Learn along the Way): সঠিকভাবে ট্রেডিং জার্নাল অনুসরণ করলে এই ট্রেডিং জার্নালই আপনাকে আপনার ট্রেডিংয়ের দূর্বলতাগুলো খুব সহজেই বুঝতে সাহায্য করবে। মানি ম্যানেজমেন্টের দূর্বলদিকগুলো চলে আসবে আপনার চোখের সামনে, ট্রেডিংয়ের ভূলগুলোকে এনালাইসিস করে সেগুলো সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সহজ হবে। নিজের ট্রেডিং জার্নাল প্রতি সপ্তাহে, মাসে এবং ৩ মাস পর পর এনালাইসিস করতে হবে। নিজের ট্রেডিংয়ের উন্নয়ন নিজেকেই পরিলক্ষিত করতে হবে। এভাবেই একজন লুজারই পরিনত হয় একজন প্রফেশনাল ট্রেডার।
মানুষ অভ্যাসের দাস তাই তার পূর্বের অভ্যাস বা অবেগগুলোকে সে খুব সহজেই ঝেড়ে ফেলতে পারে না। ফরেক্স ট্রেডিংয়ে লসের অন্যতম কারন হল এই আবেগগুলো এবং এগুলোর মধ্যে রাজার আসল দখল করে আছে "লোভ বা Greed"। তাই অভ্যাসগতভাবে লোভ সংবরন করা অনেক কষ্টকর কিন্তু অসম্ভব নয়। এই আর্টিক্যেলের মাধ্যমে আমি চেষ্টা করব বিষয়টির খুঁটিনাটি দিক আলোচনা করার এবং বিভন্ন মনস্তাত্বিক বিষয় তুলে ধরার মাধ্যমে লোভ সংবরন করার উপায় আলোচনা করব। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক মানুষ কেন ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে লোভের কবলে পাড়ে? যেহেতু এই সেকটরে প্রফিট করার লিমিটেশন বা গন্ডি নেই তাই আমাদের মাঝে লোভ কাজ করাটা স্বভাবিক একটা বিষয়। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে দিনে সর্বচ্চ ১০% প্রফিট করা সম্ভব কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এমন কোন বিধিনিষেধ নেই। এখানে আপনি একদিনে একাউন্টের ১০০ গুনও করতে পারবেন যদি সুযোগ পান। তাই লোভ একটু বেশি কাজ করে থাকে। ট্রেডিংয়ের সঠিক নিয়ম কানুন এবং মানি ম্যানেজমেন্টের সঠিক কৌশল না জানার কারনে ট্রেডাররা লোভের সম্মুখিন হয়ে থাকে। যেমন মানি ম্যানেজমেন্টের নিয়ম বলতে প্রতি ট্রেডে সর্বচ্চ ২% রিস্ক নেওয়া উচিত এবং এর বেশি হলে একাউন্টের উপর প্রভাব পড়তে পারে কিন্তু আপনি এটি না জানার করনে বেশি রিস্ক নিলেন এবং আপানার একাউন্ট ঝুঁকির মুখে পড়ল। এটা হল মূলত সঠিক নিয়ম কানুন না জানার কারণে। অনুশোচনা করা আরও একটি কারন যার ফলে ট্রেডাররা হতাশ হয়ে পড়ে এবং নিজের ভুলের উপর বার বার আঙ্গুল তুলে এবং ভিতরে ভিতরে পুড়তে থাকে। অনেক সময় ট্রেডাররা ট্রেড ক্লোজ করার পরও অনুশোচনা করে। ইশ্ ট্রেডটা যদি এখনও ওপেন থাকত তাহলে আরও ১০০ ডলার বেশি প্রফিট হতো। আসলে এই ধরনের মানসিকতাও লোভের জন্ম দিয়ে থাকে। এক বন্ধু তার বন্ধুকে বলতেছে দোস্ত আমি আজকে ১০০০ ডলার প্রফিট করলাম, তুই কত করলি? বন্ধু উত্তরে বলতেছে কি আর বলব দোস্ত আমিতো এতো প্রফিট করতে পরি নাই। তখন বন্ধু হালকা হিট দিয়ে বলল , কি য়ে করিস আমার মনে হয় তোকে দিয়ে ট্রেড হবে না। অন্যদিকে বন্ধু বাড়িতে এসে মন খারাপ করে বসে আছে আর নিজে নিজে ভাবতেছে, আমাকে দিয়ে কি আসলেই ট্রেড হবে না।তখন যে আরও বেশি রিস্ক নিয়ে ট্রেড করার চেষ্টা করে এবং লস করে ফেলে। এভাবে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতার করণেও মানুষের মধ্যে লোভ জন্ম হয়ে থাকে। অনেক নতুন ট্রেডার আছে যারা অনেক সময় আন্দাজে ট্রেড দিয়ে খুব ভালো প্রফিট করে ফেলে এবং মনে করতে থাকে বার বার তা করতে পারবে। এটাও লোভের জন্ম দিয়ে থাকে। অধিক সময় ট্রেডিং চার্ট দেখতে থাকলেও অনেক সময় ট্রেড বেশি নিতে ইচ্ছা করে এবং ওভার ট্রেড হতে পারে। এই ওভার ট্রেড লোভের আরও একটা বড় করণ। যেভাবে আমরা লোভকে সংবরন করতে পারব: আগে আমরা জেনেছি আমাদের ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে লোভ কাজ করার কারনগুলো সম্পর্কে। এখন আমারা জনব যে কিভাবে আমরা এই লোভ নিয়ন্ত্রন করতে পারি। যেসব কারণগুলো আমাদের মধ্যে লোভ সৃষ্টি করতে পারে সেই করনগুলো সম্পর্কে আমাদের সঠিক এবং পর্যাপ্ত ধারণা থাকতে হবে। এর ফরে আমার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারব। সঠিক নিয়মে ট্রেড করতে হবে এবং রিস্কলেভেলকে এবং মানি ম্যনেজমেন্টকে সঠিক নিয়মে ফলো করতে হবে। লস করার পরে নয় বরং লস করার আগে সতর্কতার সাথে ট্রেড করতে হবে এবং নিজের সাথে নিজের Commitment ঠিক রাখতে হবে। লাইভ মার্কেটে ট্রেড করার আগে সঠিকভাবে ট্রেড শিখে নিন।বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা অনেক বড় একটা সেকটর যার উপর ৪ বছরে Graduation আছে এবং ২ বছরের Master Degree আছে।তাই দু্‌ই দিন ডেমো ট্রেড করে লাইভ মার্কেটে ট্রেড করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।ফরেক্সের ঝুঁকির দিকগুলোকে জানতে হবে, বুঝতে হবে যেসব ভুলের কারনে তিল তিল করে গড়ে তোলা ট্রেডিং ক্যরিয়ার ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে। ট্রেডিংকে একমাত্র ইনকাম সোর্স না নিয়ে বরং পার্ট-টাইম নেওয়া উচিত। যত বেশি প্রফিট করতে চাইবেন ততো বেশি লোভ তৈরি হবে। সুতরাং যতদিন পর্যন্ত প্রফেশনাল বা প্রো লেভেল ট্রেডার হচ্ছেন ততো দিন পর্যন্ত ফুলটাইম ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে ডিসিপ্লিনের মধ্যে রাখতে হবে। নিয়মের মধ্যে ট্রেড দিতে হবে এবং ক্লোজ করতে হবে। ট্রেড নিয়ে অনুশোচনা করা যাবে না। ট্রেড ভুল হবে না এটা চিন্তা করাও একটা ভুল সুতরাং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যরা কি করল, কতো ডলার প্রফিট করল এগুলো দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যের এনালাইসিস দেখে ট্রেড নেওয়া যাবে না তবে অন্যের এনালাইসিসি দেখে নিজের এনালাইসিস মিল করে যদি মনে হয় ট্রেড নেওয়া যায় তাহলে ট্রেড নেওয়া যেতে পারে। বাস্তববাদি চিন্তা করতে হবে, নিজেকে দ্রুত বড়লোক করার চেষ্টা করা থেকে বিরত রাখতে হবে। বছরের সব মাসেই সমান প্রফিট হবে না বা মার্কেট সমান থাকবে না। তাই নিজেকে বাস্তব চিন্তা করতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মোটিভেশনাল বই পড়তে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ পেজ করে বিশেষ করে যখন মন খারাপ লাগবে তখন। বই গুলোর মধ্যে বিশেষ করে You can win, The power of your subconscious Mind, Think and Grow Rich ইত্যাদি।
শুধুমাত্র ফরেক্স ট্রেডিং নয় জীবনের সকল স্তরে সফলতার জন্য প্রয়োজন লোভ থেকে দূরে থাকা। যারা লোভকে জয় করতে পারবে তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সফলতা খুব কঠিন কিছু না। ফরেক্সের ক্ষেত্রে ট্রেডারদের দ্রত বড়লোক হবার প্রবনতা লক্ষ করা যায়, যেহেতু এটি একটি অর্থ-নির্ভর ব্যবসা তাই লোভ একটু হলেও বেশি কাজ করে থাকে। অল্প বিনিয়োগ করে বেশি প্রফিট কারার প্রবনতা প্রায় সকল নতুন ট্রেডারদের মধ্যে লক্ষ করা যায়। শুধু নতুনদের কথা বললে ভুল হবে, অনেক প্রোফেশনাল ট্রেডারাও অনেক সময় এই লোভের ফাঁদে পড়ে যায় এবং অনেক কষ্টে অর্জিত সফলতা বিনষ্ট করে ফেলে। একটা ট্রেডে লস হলে কিভাবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেই লস-কে রিকভার করা যায়, কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে অধিক প্রফিট করা যায়, এই সকল চিন্তাভাবনা সাধারণত এই লোভের করনেই হয়ে থাকে। সফল ট্রেডার হতে হলে এই লোভকে জয় করতে হবে এবং লোভের ওপর নিয়ন্ত্রন করা শিখতে হবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা এই লোভ নিয়েই বিশদ আলোচনার করব এবং জানার চেষ্ট করব লোভ নিয়ন্ত্রন করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে। একটা বিষয় আগে জানতে হবে যে মানুষ কেন লোভের শিকার হয়। অনেকে অনেক ভাবে বিষয়টি ব্যখ্যা করতে পারে। কিন্তু এখানে আমি আমর নিজস্ব মাতামত প্রকাশ করব এবং শেয়ার করার চেষ্টা করব আমার প্রায় ৮ বছরে ট্রেডিং অভিজ্ঞতার আলোকে। মানুষের যখন চাহিদা বেড়ে যায় তখন মানুষ চায় অতি দ্রুত কিছু একটা করতে যাতে সে তার চাহিদা এবং যোগানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। সে তখন তার প্রচলিত ধারার বিপরীতে গিয়ে কিছু একটা করতে চায়, নিয়ে নেয় অধিক ঝুকি যেটা পরবর্তিতে হয়ে ওঠে লসের করন। আমরা দেখেছি অনেক প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীরা ওভারটাইম ডিউটি করে থাকে কন্তু কেন করে? অবশ্যই প্রয়োজন বেশি বা চাহিদা বেশি থাকার কারনে, তাই নয় কি? ঠিক তেমনই যার জীবনে যত বেশি চাহিদা তার প্রাপ্তির আশাও ঠিক ততো বেশি থাকে। অনেকের আবার প্রয়োজন খুব একটা না হলেও ছয় রিপুর প্রভাবে বশীভুত হয়ে লোভের কবলে পড়ে যান। জীবনে খুব দ্রুত কিছু একটা করে ফেলে, কোন একটা স্বপ্ন পূরণ করা, পরিবারের আপনজনের জন্য কিছু একটা করা, সমাজের বা দেশের জন্য কিছু একটা করা ইত্যাদির চিন্তা করেও মানুষ তার জীবনে খুর দ্রত কিছু একটা করতে চায়। এর ফলে মানুষের ভিতর আকাংখা জন্ম হয় এবং কিছু পাওয়ার জন্য মন ব্যকুল হয়ে যায়। আমি আমার লেখনীতে কখনই আকাংখাকে লোভ হিসাবে আখ্যায়িত করতে চাই না কিন্তু অতী উচ্চাকাংক্ষা যে লোভের জন্ম দেয় এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। অনেকে বলে ভাই আমি আমার জন্য জীবনে কিছু চাই না, আমি শুধু আমার পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করি,, কাথাগুলো ভালো শোনালেও এগুলোও মানুষের মধ্যে আকাংখার জন্ম দেয় যেটা অনেকসময় চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে একটা দুরত্ব স্থাপন করে থাকে। আপনি আপনার জীবনে কি চান এটা বড় বিষয় না বরং আপনি কিভাবে তা অর্জন করতে চান সেটাই বড় বিষয়। প্রচলিত ধারার চেয়ে যখন আপনি বেশি কিছু করতে যাবেন বা পেতে যাবেন তখনই লোভের সূত্রপাত হয় এবং অনাকাংক্ষিত ফলাফল চলে আসতে পারে। আইজাক নিউটন তার গতীর তৃতীয় সূত্রে বলেছেন.. প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । যেটা জীবনের সকল পর্যায়ে প্রমানিত এবং কার্যকরী। ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ন। এই সেকটরে আপনার ইনপুট এবং আউটপুটের একটা মিল থাকতে হবে যা না হলে আপনাকে অনেক খারপ পরিস্থিতির শীকার হতে হবে আজ অথবা কাল। আপনি কি সঠিকভাবে ট্রেডের উপর পড়াশুনা করছেনে? আপনার কত % প্রফিটের চাহিদা আছে? ফরেক্স ট্রেডিংকে কি আপনি একমাত্র ইনকাম সোর্স করতে চান? আপনার কি রিস্ক ম্যনেজমেন্ট বা মানি ম্যনেজমেন্টের কোন সুনির্দিস্ট স্ট্রেটেজি মেনে চলেন? অপনি কি আপনার ইমোশনগুলোকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন? উপরের প্রশ্নগুলোর সঠিক এবং যুক্তিসংগত উত্তর ছাড়া এই সেকটরে ভালো কিছু আশা করা মিথ্যা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না। মনে রাখাতে হবে ফরেক্স একটা ব্যবসা, কোন GAMBLING বা জুয়ার আসর নয়। এখানে টিকে থাকতে হলে আপানাকে ব্যবসায়ীদের মোতই চিন্তা ভাবনা করতে হবে, মিল রাখতে হবে আপানার চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে। কথাটা অপ্রিয় হলেও সত্য যে অনেক ট্রেডার ফরেক্স ট্রেডিংকে একটা দ্রুত বড়লোক হবার মাধ্যম হিসাবে মনে করে থাকে এবং এই চিন্তা তখনই তার মধ্যে আসে যখন এই সেকটর সম্পর্কে তার সঠিক ধারনা থাকে না অথবা অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে ট্রেড করে থাকে। কথাটি মিথ্যা নয়, প্রায় ৯৫% ট্রেডার এই সেকটরে লসের শিকার হয় এবং খুব কম ট্রেডারই আছেন যারা এই সেকটরে দীর্ঘমেয়াদীভাবে লাভোবান হয়েছেন এর হচ্ছে। আর যারা হয়েছেন তারা তাদের লোভ কে সংবরন করতে শিখেছেন। আপনি যদি খুব দ্রুত বড়লোক হবার উদ্দেশ্যে এই সেকটরে এসে থাকেন তাহলে আপনি আজ অথবা কাল আপনার আসল পুজি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলবেন,, প্রফিটতো অনেক পরের কথা।
আসল Head & Shoulders Pattern প্রায়শই ঘটে না, কিন্তু যখন এটি তৈরি হয় তখন অনেক ট্রেডাররা এই প্যাটার্নকে মার্কেটে একটা বড় ধরনের ট্রেন্ড রিভারসেল (Reversal) প্যাটার্ন হসাবে গন্য করে থাকে। ট্রেডার মহলে একটি পরিপূর্ন হেড এন্ড শোল্ডার টপ প্যাটার্নকে ( Head & Shoulder Top Pattern) শক্তিশালী Bearish Reversal প্যাটার্ন এবং একটি পরিপূর্ন ইনভারস হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্নকে (Inverse Head & Shoulder Pattern) শক্তিশালী bullish Reversal প্যাটার্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্নের উপাদান: আমরা জেনেছি যে, যখন এই প্যাটার্ন সম্পূর্ণরূপে গঠিত হয় তখন বেশিরভাগ ট্রেডার এই প্যাটার্নকে মার্কেটের একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের সূত্রপাত হিসাবে গন্য করে থাকে। তবে আপনাকে আগে নিশ্চিত হতে হবে যে প্যাটার্নটি সঠিক আছে। Head & Shoulder প্যাটার্নে চারটি উপাদান রয়েছে যা প্যাটার্নটি নিশ্চিত করার জন্য উপস্থিত থাকা আবশ্যক। Right shoulder ডান শোল্ডার Head হেড বা মাথা Left shoulder বাম শোল্ডার Neckline break নেকলাইন উল্লেখ্য যে অনেক সফল ট্রেডার বিশ্বাস করে শুধুমাত্র প্রাইস প্যাটার্ন দেখে সিদ্ধান্ত নিলে হবে না বরং এর সাথে Supply এবং Demand এনালাইসিসটাও করতে হবে, তাহলেই সঠিক এবং কার্যকরী সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে এবং সঠিক ট্রেডটি নেওয়া যাবে। Pattern timeframe (টাইমফ্রেম): এই হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্ন যেকোন টাইমফ্রেমেই গঠিত হতে পারে তবে সফল ট্রেডাররা মনে করে এই প্যাটার্ন যত লংগার টাইমফ্রেমে গঠিত হবে ততো কার্যকরী রেজাল্ট দিবে। লংগার টাইমফ্রেম বলতে বোজান হচ্ছে Weekly বা Daily চার্টকে। যেভাবে হেড এন্ড শোল্ডার টপ প্যাটার্ন গঠিত হয়: হেড এন্ড শোল্ডার টপ প্যাটার্ন অবশ্যই আপট্রেন্ড মার্কেটে তৈরি হতে হবে এবং প্রাইস লেভেন আপট্রেন্ডে একটি নতুন রেসিস্টেন্স এরিয়া টেস্ট করবে যা পরবর্তীতে বাম শোল্ডার (Left Shoulder) হিসাবে গন্য হবে এবং এখান থেকে আবার বেয়ারিশ মোমেনটাম (Bearish Momentum) শুরু হবে এবং নিকটবর্তী সাপোর্টে গিয়ে শেষ হবে। প্রাইস লেবেল সময়ীক কারেকশনের পর আবার আপট্রেন্ডের ধারাবাহিকতা মেনে চলবে এবং আগের পিক লেভেল থেকেও আরও হাইয়ার লেভেল টেস্ট করবে যা পরবর্তিতে এই প্যাটার্নের মাথা বা Head হিসাবে গন্য হব। এবং এখান থেকে আবার বেয়ারিশ কারেকশনে চলে যাবে এবং পূর্বের কারেকশন লেভেলের কাছাকছি যেতে পারে যেটা পরবর্তিতে NECKLINE হিসাবে কাজ করবে। সাপোর্ট এরিয়া (NECKLINE)টেস্ট করার পর প্রাইস লেভেল পুনরায় বুলিশ ট্রেন্ড অনুসরণ করবে এবং বাম শোল্ডার বা প্রথম পিক লেভেলের কাছাকাছি চলে যাবে যেটা পরবর্তিতে ডান শোল্ডার হিসাবে পরিগনীত হবে। প্রাইস লেভেল পুনরায় Retracement-এ চলে যাবে এবং নেকলাইনের দিকে ধিরে ধিরে অগ্রসর হবে। এই পর্যায়ে নেকলাইনটা একটা VERIFIED সাপোর্ট জোনে পরিনত হয়ে উঠবে। তবে মনে রাখতে হবে NECKLINE-টি Horizontal বা Diagonal-ও হতে পারে। অনেকে মনে করেন যে নেকলাইনটি Horizontal বা সোজাসুজি হতে হবে, যেটা একটা ভূল ধারনা। নিচে চিত্রের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করা হলো: একটা বিষয় অবশ্যই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, এই হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্ন তখনই ১০০% কর্যকরী হবে যখন প্রইস লেভেল NECKLINE ব্রেক করবে এবং ব্রেক করার পরই আসল Bearish Trend শুরু হবে। এই ব্রেকআউট সাধারণত নিউজ টাইমে হয়ে থাকে এবং ব্রেকআউট ক্যান্ডেলটাও অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে। যেভাবে ইনভার্স হেড এন্ড শোল্ডার বা হেড এন্ড শোল্ডার বটোম প্যাটার্ন (Inverse Head & Shoulders) গঠিত হয়: এই প্যাটার্ন অবশ্যই ডাউনট্রেন্ড মার্কেটে হতে হবে এবং প্রাইস লেভেন ডাউনট্রেন্ডের নতুন সাপোর্ট এরিয়া টেস্ট করবে যা পরবর্তীতে বাম শোল্ডার (Left Shoulder) হিসাবে পরিগনিত হবে এবং এখান থেকে আবার বুলিশ মোমেনটাম (Bullish Momentum) শুরু হবে এবং নিকটবর্তী রেসিস্টেন্সে গিয়ে শেষ হবে। প্রাইস লেবেল সাময়িক কারেকশনের পর আবার ডাউনট্রেন্ডের ধারাবাহিকতা মেনে চলবে এবং আগের BOTTOM লেভেল থেকেও আরও লোয়ার লেভেলে টেস্ট করবে যা পরবর্তিতে এই প্যাটার্নের মাথা বা Head হিসাবে পরিগনিত হবে। এবং এখান থেকে আবার বুলিশ কারেকশনে চলে যাবে এবং পূর্বের কারেকশন লেভেলের কাছাকছি যেতে পারে যেটা পরবর্তিতে NECKLINE হিসাবে কাজ করবে। চিত্রের দিকে লক্ষ করুন রেসিস্টেন্স এরিয়া (NECKLINE)টেস্ট করার পর প্রাইস লেভেল পুনরায় বেয়ারিশ ট্রেন্ড অনুসরণ করবে এবং বাম শোল্ডার বা প্রথম Bottom লেভেলের কাছাকাছি চলে যাবে যেটা পরবর্তিতে ডান শোল্ডার হিসাবে পরিগনীত হবে। প্রাইস লেভেল পুনরায় Retracement-এ চলে যাবে এবং নেকলাইনের দিকে ধিরে ধিরে অগ্রসর হবে। এই পর্যায়ে নেকলাইনটা একটা VERIFIED Resistance হিসাবে পরিনত হয়ে উঠবে। তবে মনে রাখতে হবে NECKLINE-টি Horizontal বা Diagonal হতে পারে যেকোনটাই হতে পারে। নিচে চিত্রের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করা হলে: একটা বিষয় অবশ্যই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, এই হেড এন্ড শোল্ডার প্যটার্ন তখনই ১০০% কর্যকরী হবে যখন প্রইস লেভেল NECKLINE-কে ব্রেক করবে এবং ব্রেক করার পরই আসল Bearish Trend শুরু হবে। এই ব্রেকআউনটগুলো সাধারণত নিউজ টাইমে হয়ে থাকে এবং ব্রেকআউট ক্যান্ডেলটাও অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে। পরবর্তী প্রাইসের টার্গেট নির্ধারন করা: হেড বা পিক লেভেল থকে নেকলাইনের দুরত্ব পরিমাপ করতে হবে। উপরের চিত্রটি লক্ষ করুণ। এই ধাপে ব্রেকআউট পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে। ডান শোল্ডারটি নেকলাইনের যে পয়েন্টে ব্রেকআউট করেছে সেখান থেকে PIPS কাউন্ট করতে হবে এবং টার্গেট সেট করতে হবে। উদাহরণসরূপ হেড থেকে নেকলাইন এর দুরত্ব ২০০ পিপস তাহলে আমাদের পরবর্তী টার্গেট হবে নেকলাইন থেকে আরও ২০০ পিপস। শেষকথা: ফরেক্স মার্কেটে প্যাটার্ন এনালাইসিস অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় যেটা সব ট্রেডারদের অবশ্যই জানতে হবে।অনেক রকমের চার্ট প্যাটার্ন রয়েছে এবং তার মধ্যে হেড এন্ড শোল্ডার প্যাটার্ন অন্যতম।এই প্যাটার্নে যেটা বুঝানো হয়ে থাকে সেটা হল,,, মার্কেটে ট্রেডাররা অনেকবার চেষ্টা করেছে বুলিশ ট্রেন্ড ধরে রাখারে জন্য বা প্রাইস লেভেল আরও উপরে নেওয়ার জন্য কিন্তু ব্যর্থ হেয়ছে। এই করনে অধিকারংশ ট্রেডার বিশ্বাস করে এই প্যাটার্ন মার্কেটে শক্তিশালী রিবারসেল সিগনাল নির্দেশ করে থাকে।
ফরেক্স মার্কেটে যত ধরনের জনপ্রিয় এবং প্রফিটেবল ট্রেডিং সিস্টেম রয়েছে তার মধ্যে স্কাল্পিং(Scalping) ট্রেডিং সিস্টেম অন্যতম। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মার্কেট থেকে একটা রেজাল্ট নিয়ে বের হয়ে যাওয়াই হল স্কাল্পিং ট্রেডিংয়ের মূল লক্ষ। উল্লেখ্য যে স্কাল্পিং ট্রেডিং সিস্টেম যেমন প্রফিটেবল তেমন বিপদজনকও বটে। বিশেষ করে নতুনদের জন্য স্কাল্পিং সবচেয়ে বিপদজনক ট্রেডিং সিস্টেম। সঠিক নিয়ম না জেনে, না মেনে স্কল্পিং করলে এই সিস্টেম থেকে প্রাপ্তির চেয়ে হারাবার ভয় একটু হলেও বেশি থাকে। নতুনদের এই সিস্টেম একটু বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় কারন এর মাধ্যমে দ্রত প্রফিট করা যায় তবে একাউন্ট জিরোও খুব দ্রুত হয়। অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডারও স্কাল্পিং করতে গিয়ে Emotion এর ফাদে পড়ে যায় এবং লস করে ফেলে। সুতরাং স্কাল্পিং ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিচে স্কাল্পিং ট্রেডিং এর কিছু খুটিনাটি বিষয় তুলে ধরা হল: আপনার স্কাল্পিং ট্রেডিং মেথড কি পরিক্ষিত? আপনি কি কিছু দিন ডেমো একাউন্টে আপনার ট্রেডিং সিস্টেম টেস্ট করেছিন? আপনি কি আপনার ট্রেডিং রেজান্টে সন্তুষ্ট? আপনি কি ডেমোতে সঠিকভাবে Risk Management করতে পারতেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি না হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্কাল্পিং ট্রেডিং সিস্টেম এখনও লাইভ ট্রেডিং করার জন্য উপযুক্ত নয়। তাই আপনাকে আপনার ট্রেডিং স্ট্রেটেজিকে আরও পরিপূর্ণ করতে হবে। অনেকে প্রায় বলে আমি ১০ টা ট্রেড করলে ৯ টায় প্রফিট হয় কিন্তু ১ টা ট্রেডের লসে সেই ৯টা ট্রেডের প্রফিট হারিয়ে ফেলি। আচ্ছা এটার কারন কি? এর কারন হল RISK & REWARD রেশিও। অপনি প্রফিটের ট্রেড খুব দ্রুত এবং অল্প প্রফিটে ক্লোজ করে দিচ্ছেন কিন্তু লসের ট্রেডগুলো ধারে রাখছেন, আসলে এটাই হল স্কাল্পিংয়ের জন্য আরও একটা বাধা। এটা সমাধানের জন্য আপনাকে সঠিক Risk & Reward মেনে ট্রেড করতে হবে এবং কোন ট্রেড হোল্ড হয়ে গেলে আবেগ প্রবন না হয়ে ট্রেড সঠিক নিয়মে ক্লোজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনি যদি মার্কেটে টিকে থাকতে পারেন তাহলে অবশ্যই লস রিকভার করতে পারবেন। তাই অবশ্যই রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিওকে সম্মান করতে হবে এবং শৃংখলার সাথে মেনে চলতে হবে। মার্কেট এনালাইসিসের ক্ষেত্রে অবশ্যই হায়ার টাইমফ্রেম ( Higher TimeFrame: Weekly, Daily, H4 etc.) ব্যবহার করতে হবে কিন্তু ট্রেড এন্ট্রি লোয়ার টাইমফ্রেম (M30, H1) দেখে নেওয়া যেতে পারে। হায়ার টাইমফ্রেম দেখে পজিশন বুঝে ONE WAY তে ট্রেড করতে হবে। একবার বাই, একবার সেল দেয়ার চেয়ে Overbought থেকে সেল আর Oversold থেকে বাই দেয়া নিরাপদ।এক্ষেত্রে RSI কে প্রাইচ একশনের সাথে কম্বিনেশন করে ট্রেড করা যেতে পারে। লট সাইজ বার বার পরিবর্তন করা যাবে না। আপনার একাউন্ট Balance একটা নির্দিষ্ট অংকে গেলে তখন লট সাইজ একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমে বাড়াতে হবে। যেমন: আপনি ১০০০ ডলারের একাউন্ট ব্যলান্স ববহার করে ট্রেড করবেন ০.০২ লট সাইজ কিন্তু যখন একাউন্ট ব্যলান্স বেড়ে ২০০০ হবে তখন আপনি ব্যবহার করতে পারেন ০.০৪ লট। অন্যন্য ট্রেডিং সিস্টেম অপরিবর্তিত রাখতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে ট্রেড করতে হবে। যখন মন চাইল আর ট্রেড দিলাম, এটা কিন্তু ভয়ানক একটা রোগ। মার্কেট Environment সব সময় একরকম থাকে না তাই সঠিক সময় বেছে নেওয়া অবশ্যক। স্কাল্পিং করার ক্ষেত্রে ওভার ল্যপিং সেশনগুলো, নিউ ইয়র্ক সেশনের শেষের দিক বেছে নেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে Range মার্কেটে স্কাল্পিং ভালো করা যায়। ট্রেড নেওয়ার আছে ভালো করে Economic Calendar দেখে নিতে হবে। নিউজের ৩০ থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে স্কাল্পিং না করাই ভালো। শুক্রবারে কোন স্কাল্পিং না করাই উচিত হবে কেননা এই দিনে মার্কেটের Supply এবং Demand অনেকটা অস্পষ্ট থাকে যার ফরে মার্কেট Direction কোন এনালাইসিসের তোয়াক্কা নাও করতে পারে। তাই শুক্রবারে ট্রেড না করে ইবাদত বন্দেগীতে দিনটিকে কাজে লাগালেই শ্রেয় হবে। অন্য ট্রেডিং সিস্টেমে ১:২ রিস্ক রিওয়ার্ড মেনে চলতে বলা হলেও স্কাল্পিং এর ক্ষেত্রে ২:১ ফলো করা উচিত। Trade Entry নেওয়ার ক্ষেত্রে Confirmation লজিকগুলো একটু ভালো করে দেখে নিতে হবে। সুইং ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে যদি ১০০ পিপস স্টপ লস আর ২০০ পিপস টিপি দেন, সেক্ষেত্রে স্কাল্পিং-এ ৩০ পিপস স্টপলস আর ১৫ পিপস টিপি দেওয়া যেতে পারে। রিস্ক কোনভাবেই একাউন্টের ১% এর বেশি নেওয়া যাবে না। ওভার ট্রেড করা স্কাল্পিং ট্রেডিং সিস্টেমের আরও একটি প্রধান অন্তরায়। নিজেকে Discipline রাখতে হবে সবসময় এবং সবপরিস্থিতিতে। একটা টার্গেট রাখতে হবে যে আমি প্রতিদিন ৫ টার বেশি ট্রেড নিব না। মার্কেট যদি খুবই ভালো থাকে তাহেল ৫ টা আবার যদি Confusing হয় তাহলে ১টাও না। রেঞ্জি মার্কেট স্কাল্পিং এর জন্য নিরাপদ। বিশেষ করে কোন নিউজ ইমপ্যাক্টে মার্কেট যখন ১০০-২০০ পিপস ফল করে তখন বাইয়ে (BUY) থাকা যেতে পারে যেটাকে বলা হয়ে থাকে Retracement ট্রেডিং এবং সেটা নিউজের ১..২ ঘন্টা পরে একটা পর্যায়ে মার্কেট যখন সাইডওয়েতে থাকে। সেক্ষেত্র স্টপলস হবে ওইদিনের লো থেকে ২০ পিপ নিচে। আর আপ হলে সেল এ থাকা যেতে পারে সেম কন্ডিশনে। স্কাল্পিং এর সময় ট্রেন্ডলাইন ড্র করে মার্কেট আপট্রেন্ড না ডাউনট্রেন্ড সেটা বের করতে হবে সাথে চার্ট প্যটার্নগুলো সম্পর্কে ভালো একটা ধারনা রাখতে হবে। আপট্রেন্ডে সাপোর্ট থেকে ডাউন ট্রেন্ডে রেজিস্টান্স থেকে এন্ট্রি নেয়ার চেষ্টা করবেন। কখনো ভোলাটাইল সময় মার্কেটের বিপরীতে গিয়ে Retrancement আশা করে ট্রেড নেওয়া যুক্তিসংগত নয়। বরং মার্কেটে একটা নিউজ এর এফেক্ট শেষ হয়ে গেল যখন সাইডওয়েতে চলে যাবে তখন স্কাল্পিং করা যেতে পারে।
অনেকে প্রশ্ন করেন ভাই ট্রেডিংয়ে সফলতার মূলমন্ত্র কি? যদিও সফলতা অনেক দূর কিন্তু আমি আমার ছোট ট্রেডিং ক্যরিয়ারের আলকে বলতে পারি ট্রেডিংয়ে সফলতার মূলমন্ত্র হল ট্রেডিং সাইকোলজি ম্যনেজমেন্ট... এটা কোন ব্যাপারই না ...যে আপনি কত ভাল ট্রেড করতে পারেন,,,, কত ভাল ট্রেডিং Strategy দিয়ে ট্রেড করছেন,,,, বা কত ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন ….. ইত্যাদি কোন কিছুই কাজ করবে না যদি আপনার ট্রেডিং সাইকলজি ঠিক না থাকে। ১০০% শিওর থাকেন। যে কোন কারনেই আপনার ট্রেডিং সাইকোলজি ফল করতে পারে এবং আপানার ট্রেডেং ক্যারিয়ার হতে পারে চরম ঝুকির সম্মুখীন । ট্রেডিং সাইকোলজি ঠিক রাখতে যে বিষয়গুলো আমাদের মেনে চলা আবশ্যক বলে আমার মনে হয়: যারা ভাল ট্রেড করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি দয়াকরে কখনও কনো বিডি ট্রেডারদের (লুজার ট্রেডার/ বেশিবুঝা পাবলিক) ফান্ড ম্যানেজ করবেন না। মাত্র ২,,, ১ জনই যথেষ্ট আপনার ট্রেডের ১২ টা বাজানোর জন্য। আমার কিছু বাস্তব ঘটনা তুলে ধরব সামনের পোস্টে যেখানে আপনাকে বাকিটা বুঝতে পারবেন। যখন আপনার পারিবারিক যামেলা বা কোন Internal প্রবলেম চলবে তখন চেষ্টা করবেন ট্রেড থেকে দূরে থাকার। বেশি সময় ধরে MT4 ওপেন রাখা আরও একটা বড় ধরনের প্রবলেম। এটা আপনার ট্রেড দেবার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় এবং ম্যানি ম্যানেজমেন্ট নষ্ট করে দেয়। বার বার ট্রেডিং STRATEGY পরিবর্তন করা আকেনটা আপানার RUNNING ট্রেড এর STOP LOSS বার বার মুভ করানোর মত যা আপনার ট্রেডিংয়ের ঝুকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দিবে। আমাদের চেষ্টা করা উচিত যেকোন একটা TRADING STRATEGY ধারাবাহিক ভাবে ট্রেড কারা। তবে হ্যা আপনি আপনার ট্রেডিং Strategy মার্কেট অনুযায়ী পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংকোচন বা বিয়জোন করতে পারেন। একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হল… আমাদেরকে PROFITABLE ট্রেডার হতে হবে……শুধূমাত্র ANALYST নয়। আমি দেখা মতে অধিকাংশ BIG LOSSERরাই হল বড় বড় ANALYST। এরা শুধু মার্কেট Analysis ই করতে পারে কিন্তু নিজের Analysis এর উপর বিশ্বাস করে নিজেই ট্রেড দিবার CONFIDENT পায় না। সুতরাং চেষ্টা করবেন নিজের Analysis গুলাকে যতটা সম্ভব SIMPLE রাখার। মনে রাখবেন ফরেস্ক্র মার্কেটে আপনি যত বেশি ANALYSIS করবেন তত বেশিই CONFUSED হবেন। আমি অনেক ভাল ভাল ট্রেডারদের (Foreign Trader) ব্যক্তিগতভাবে চিনি যারা কিনা খুব ভাল ANALYST না কিন্তু নিয়মিতভাবে প্রফিট কারে যাচ্ছে শুধুমাত্র সাধারন কিছু Market EquationS এবং Strong Trading Psychology দিয়ে। আপনার DAILY/WEEKLY/MONTHLY টার্গেট সম্পূর্ণ হয়ে গেলে MT4 বন্দ করে দেওয়া উচিত। ওভার ট্রেডিং..... ট্রেডিং সাইকলজি নষ্ট করে দেবার আরও একট বড় কারণ। এখানে লোভ করলেই মারা খেতে হবে NO DOUBT! প্রফিটেবেল এবং ভেরিফাইড ট্রেডারদের সাথে কানেকটেড থাকা আবশ্যক কারন ট্রেডিংয়ে “সফল” বলে কন শব্দ নেই। আজ ভাল ট্রেড করতে পারেন ,,, কিন্তু ২ দিন পর যে লস করবেন না তার কোন GURANTEE নেই। তাই সর্বদাই শেখার ভেতর দিয়েই যেতে হবে। Patience রাখতে হবে। আপনি কখনই একদিনে আপনার পূর্বের লস রিকভার করতে পারবেন না.. আবার পারবেন না একদিনে বড়লোকও হতে। আপনাকে আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে হবে। কিছূ ট্রেডিং এর খুটি নাটি যেগুলো সর্বদাই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে... খুব বেশি লেভারেজ না নেওয়া । আপনি যত বেশি লেভারেজ নিবেন ততো বেশি আপনারে RISK TENDENCY বাড়বে। লেভারেজ ২০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে হওয়া ভাল। STOP LOSS দিয়ে ট্রেড করা, News Trade বেশি না করা, Overtrade না করা etc. Demo Trade থেকে সর্বদাই দূরে থাকা ভাল কারন যখন কেউ ডেমো ট্রেড করে ,,, পরে তার Real এ ADJUST করতে প্রবলেম হয়। ওভারঅল এই বিষয়গুলো আমাদেরকে সর্বদাই মনে রাখতে হবে এবং মেনে চলতে হবে।